নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কারসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরাম। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ফোরামের নেতারা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নতুন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তথা নতুন কারিকুলাম আমাদের সন্তানদের শিক্ষার ভীত নষ্ট করে দিচ্ছে। যেখানে শিক্ষকরা নিজেরা ভালো করে বুঝতে পারেন না, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের কী পাঠদান করবেন? প্রথমে কাঠামো তৈরি করে তারপর এটা কয়েকটি বিষয়ের উপর চালু করা উচিত ছিল। পরীক্ষা পদ্ধতি ছাড়া মেধা মূল্যায়নের মতো বিষয়টি অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। যেখানে পরীক্ষার জন্য বই পড়তে চাইত না, সেখানে বাচ্চারা পরীক্ষাহীন লেখাপড়ায় বইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবে না। তারা এখন মোবাইল, ট্যাব এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। শিক্ষকরা ইন্টারনেট থেকে সব লিখে আনতে বলে। যেখানে সারা বিশ্ব ডিভাইস থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে, সেখানে আমরা উৎসাহিত করছি এগুলো ব্যবহার করার জন্য।
তারা আরও বলেন, ব্যবহারিক নামক এক ধরনের যন্ত্রণা চালু করা হয়েছে। যা প্রতিটি অভিভাবককে এই নরকে জ্বলতে হচ্ছে। বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনে উপকরণ যেমন, গাছ লাগানো, টব বানানো, পুতুল বানানোসহ আরও অনেক কিছু করে আনতে হয় বাচ্চাদের। এগুলো মূলত বাচ্চাদের মায়েরা করে দেন। এই প্রকৃতির ব্যবহারিক কোনো উপকারে আসবে না। তাই সমস্ত ব্যবহারিক স্কুল থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
তাদের দাবিগুলো হলো, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কার করা; পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা; মেধা যাচাই হবে নম্বরের ভিত্তিতে; সব ব্যবহারিক বিষয় স্কুল থেকে সম্পন্ন করতে হবে; যে কোনো পরিবর্তন পরিমার্জন করতে হলে উক্ত কমিটিতে অভিভাবক প্রতিনিধি রাখতে হবে; অযৌক্তিকভাবে পরীক্ষা ফি ও বেতন বাড়ানো যাবে না; পরবর্তী ক্লাসে পুনঃভর্তি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি বাতিল করা।
এ সময় শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক তাহেরা আক্তার রূপা, সদস্য সচিব অলক রয়, মুখপাত্র আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।