বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় ভারত। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক শহীদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের জোড়া অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের পুঁজি পায় আফগানরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মার রেকর্ড গড়া ঝড়ো শতকে ৯০ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় ভারত। এমন দাপটে জয়ের পর টানা দুই জয় নিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে চলে এসেছে স্বাগতিকরা।
আফগানদের ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ভারতের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রোহিত শর্মা ও ইশান কিষাণ। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত। অন্যদিকে ইশান ছিলেন ধীরস্থির। দিল্লিতে ঝড় তুলে মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন দ্য হিটম্যান। এই দুই জুটিতে মাত্র ১২ ওভারেই দলীয় শতক পূরন হয় ভারতের।
অন্যপ্রান্তে ইশান অর্ধশত রান থেকে ৩ রান দূরে থাকতে দলীয় ১৫৬ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। কিশান আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে কোহলিকে নিয়ে আফগান বোলারদের ওপর ঝড় তুলতে থাকে রোহিত। আপন গতিতে ছুটতে থাকা রোহিত সেঞ্চুরির দেখা পান ৬৩ বলে। দলীয় ২০৫ রানে ৮৪ বলে ১৩১ রানে রোহিত আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
শেষদিকে কোহলির অর্ধশতকে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ম্যান ইন ব্লু’রা। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় রোহিতের দল। ৫৬ বলে ৫৫ করে কোহলি অন্যদিকে ২৩ বলে ২৫ রান আইয়ার অপারিজত থাকেন। এইদিকে টান দুই জয়ে বিশ্বকাপের টেবিলে দুইয়ে চলে এসেছে কোহলি-রোহিতরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের হয়ে দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান যোগ করেন দুজন। জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার হয়ে ২২ রানে ইব্রাহিম ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এর কিছু পর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে পরাস্ত হন গুরবাজও। তিনি করেন ২১ রান।
তার বিদায়ের পরপরই ফেরেন ১৬ রান করা রহমত শাহ। এরপর বড় জুটি গড়ে দলটি। হাশমতউল্লাহ শাহিদী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করে দ্রুত এগোতে থাকে আফগানরা। ২৪ ওভারে দলীয় সেঞ্চুরির ঘরে পৌঁছায় আফগানিস্তান। এরপর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
ইনিংসের চারদিকে দারুণ সব শটে ৬২ বলে ফিফটি পূরণ করেন ওমরজাই। তার পরপরই ফিফটির দেখা পান শাহিদী। ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন আফগান অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শতরানের জুটি গড়েন দুজন। শাহিদী ও ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করে ম্যাচ নিজেদের হাতে নিচ্ছিল আফগানরা। এমন সময় ওমরজাইকে ফিরিয়ে দুজনের ১২১ রানের জুটি ভাঙেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওমরজাই আউট হন ৬২ রানে। এর কিছু পর শাহিদীও ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষদিকে রশিদ খানের ১৬ রানের ক্যামিওতে ২৭২ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা।