ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় তাদের ‘গুঁড়িয়ে দিতে’ শুরু করেছে ইসরায়েল। গোটা উপত্যকাজুড়ে চলছে দিনরাত বোম্বিং। এতে হামাসের কত লোক মারা যাচ্ছে তা পরিষ্কার বোঝা না গেলেও সাধারণ ফিলিস্তিনিরা যে বেঘোরে মারা পড়ছে তা উঠে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এখন পর্যন্ত ৫৬০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি।
এর মধ্যে আজ ইসরায়েলের দক্ষিণে আক্রান্ত এলাকা সফরে গিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কেবল শুরু হয়েছে। আগামীতে হামাসকে আরও কঠিন ও ভয়ংকর কিছু দেখতে হবে। আমরা আপনাদের (সেনাবাহিনী) সঙ্গে আছি এবং আমরা তাদের (হামাসকে) সর্বশক্তি দিয়ে পরাজিত করব।
গত শনিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আকস্মিক হামলা শুরু করে হামাস। এই হামলায় একদিনেই সাতশর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।
এরপর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং প্রায় তিন হাজার নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে। অব্যাহত হামলায় গাজার সড়কগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে ধ্বংসস্তূপ , শহরের বাতাসে কেবল ধূলা আর বারুদের গন্ধ।
বিমান হামলার পর এবার ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলাও চালাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সোমবার তারা তিন লাখ রিজার্ভ সেনা তলব করার কথা জানিয়েছে এবং গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে। সবশেষ চিত্রে দেখা গেছে, ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্স গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজ গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে গাজায় খাবার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজা ভূখণ্ড আগে থেকেই প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। সেখানে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছানো হয় ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে।