ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়েছেন পটুয়াখালির গলাচিপা থানার সাব-ইন্সেপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মহসিন হাওলাদার। এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গলাচিপা উপজেলার পক্ষিয়া গ্রামের মৃত. এজাহার আলী হাওলাদারের ছেলে এম. নেছার উদ্দিন।
রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন নেছার উদ্দিন।
নেছার উদ্দিন বলেন, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর গলাচিপা থানায় একটি মামলায় আমি ও আমার চার ভাইদের নামে দুধা পল্লানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়। যদিও মৃত দুধা পল্লানের পরিবার বলছেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। কিন্তু এসআই মহসিন মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।
মামলা থেকে খালাস করতে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এসআই মহসিন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, এসআই মহসিন আমার স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে বলেন “শুধু আপনার স্বামীকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা দিবেন।” এই শর্তে আমার স্ত্রী এসআই মহসিনকে এককালীন ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পরও উক্ত মামলার চার্জশিট থেকে নাম প্রত্যাহার না করায় আমার স্ত্রী এসআই মহসিনের কাছে টাকা ফেরত চান।
পরে এসআই মহসিন আমার স্ত্রীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু এখনও সে টাকা ফেরত দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে উল্টো, আমি ও আমার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, “বেশি তিড়িংবিড়িং করলে ক্রসফায়ার করে দিব।”
অভিযুক্ত এসআই মহসিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বলেন, বিষয়টি ইউপি নির্বাচনকালীন একটি দায়েরকৃত মামলা। সেই সময় স্থানীয় পালোয়ান, দর্জি ও মাতুবর বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুধা পল্লানের মৃত্যু হয়। পরে চার্জশিটে ২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নেছার উদ্দিন। আর ঘুষ লেনদেনসহ ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
গলাচিপা থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গাইন বলেন, বিষয়টি আমি থানায় যোগদানের পূর্বের ঘটনা। তবে নেছার উদ্দিনের দেওয়া অভিযোগের ভিক্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাবে না।