বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে দেশের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল।
আইএমএফ ঋণের একটি শর্ত ছিল যে গত জুন পর্যন্ত প্রকৃত (নিট) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকতে হবে। শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে পারেনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রগতি, সাফল্য ও বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও বৈঠকে জানানো হয়।
আইএমএফ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবে। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারদরের লেনদেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করবে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বিবি আইএমএফকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কিছু পূরণ করা হয়েছে।
দু’টি ব্যর্থতা আছে – রিজার্ভ সংরক্ষণ সামান্য কম এবং রাজস্ব সংগ্রহ কম। তবে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে। মুদ্রার একটি বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হারও চালু করা হয়েছে। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
মেজবাউল বলেন, ‘আমি আইএমএফের দেওয়া শর্তাবলি উল্লেখ করেছি যা অর্জন করা হয়েছে এবং যেগুলো অর্জিত হয়নি। কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে।’