হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল আরোহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল প্রাইভেটকার চালকের। তর্কের একপর্যায়ে ঘটনাটি হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে ওই প্রাইভেটকার চালক সেই শিক্ষার্থীর গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়!
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাটাবন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মারুফ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ঢাবির এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেটকার চালককে অহেতুক হর্ন বাজানো নিয়ে সতর্ক করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একই সময় কার চালকের সঙ্গে থাকা এক নারীও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে বাকবিতণ্ডা থেকে বিষয়টি হাতাহাতিতে গড়ায়।
পরবর্তীতে প্রাইভেটকার চালক ঢাবি শিক্ষার্থী মারুফকে ধাক্কা দিলে তিনি গাড়ির বোনেটের উপর পড়ে যান। ওই অবস্থাতেই অনেকটা ফিল্মি কায়দায় দ্রুত প্রাইভেটকার চালিয়ে সেই ব্যক্তি প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি রাস্তা মারুফকে ঝুলন্ত অবস্থায় টেনে নিয়ে যান। পরবর্তীতে প্রাইভেটকারটি পরিবাগ মসজিদ সংলগ্ন মডিউল হাসপাতালের সামনে জ্যামে আটকা পড়লে আশপাশে থাকা লোকজন ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেই সঙ্গে উদ্ধারকারীরা প্রাইভেটকারে থাকা চালকসহ ওই নারীকেও হাসপাতালে নিয়ে যান। একপর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের নিউমার্কেট থানায় নিয়ে যায়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী দুই পক্ষের সঙ্গে বসে পুলিশ। তবে ওই সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মারুফ মামলা করতে রাজি হননি। পরে দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয় পুলিশ।
সার্বিক বিষয়ে কথা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ওই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়নি। মূলত মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার পরপরই ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেট কারের বোনেটের উপর উঠে পড়ে। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামলা করতে রাজি হননি। পরবর্তীতে তারা নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নেয়।