ক্রিকেটপাড়ায় খবরটা নতুন নয়। বহুদিন ধরেই সম্পর্ক ভালো নেই জাতীয় দলের অন্যতম সেরা দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের। একসময়ের ভালো দুই বন্ধু এখন একজন অন্যজনের সঙ্গে কথাও বলেন না।
সবশেষ এই দুই ক্রিকেটারের সম্পর্কের তিক্ততা প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড গঠনেও। তামিম ‘ফিট’ না দাবি করে তাকে দলে রাখতে চাননি সাকিব। বিষয়গুলো এখন জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে ভক্তদের কাছেও।
দেশের ক্রিকেটের সেরা দুই তারকার এমন সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি আঘাত করছে ক্রীড়ানুরাগীদের। বিশ্বকাপের আগেই দলের এমন ‘টালমাটাল’ অবস্থা নিয়েও চিন্তিত তারা। তাদেরই একজন অভিনেতা মিশা সওদাগর। তামিম-সাকিবের এই দ্বন্দ্ব নিরসনে এগিয়ে আসার মতো কি কেউ নেই? সেই প্রশ্নই রেখেছেন তিনি।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমাদের এমন কেউ কি নেই যে এই দুইজনকে একত্র করে এক টেবিলে বসিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেবে? কারণ একটা কথা তো আমরা সবাই জানি, যত বাড়বে বিভক্তি ততই কমবে শক্তি। আমাদের সবচেয়ে সম্মান করার বিষয়টা হচ্ছে আমাদের দেশ, আমাদের পতাকা। এখানে তামিম সাকিব আর টিম ম্যানেজমেন্ট বড় না। সবার ওপরে দেশ জন্মভূমি, নেতৃত্ব আর ভালোবাসা। স্যাক্রিফাইস থাকলে সবই সম্ভব। উদাহরণ আমাদের বিজয় ১৯৭১।’
মিশার মতো তামিম-সাকিব ইস্যুতে কথা বলেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানিও। ওমর সানি লিখেছেন- আপনারা যারা নির্বাচক, আপনাদের খেলা আমি দেখেছি। স্টেডিয়ামে বসে বলুন আর টিভির পর্দায় বলুন। ভীষণ পুরুষত্ব ফুটে উঠতো। আজকে এমন কি হলো, কাপুরুষের মতো ঘোষণা করতে হবে তামিম ইকবাল বাংলাদেশ দলেই নেই!
এই অভিনেতা আরও লেখেন, মানলাম একজন সুপারস্টারের কথায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনাদের জায়গায় যদি আমার মত রাষ্ট্রের প্রজা থাকতো তাহলে বলতাম- ‘আমি পদত্যাগ করলাম।’ সরি একজন খেলোয়াড় তামিম ইকবাল।
ওমর সানির স্ট্যাটাসে স্পষ্ট, সাকিব যে ‘আনফিট’ তামিমকে দলে চাননি আর নির্বাচকরাও সেটা মেনে নিয়েছেন এ বিষয়টিই অভিনেতার পছন্দ হয়নি। ফলে সাকিবকে ‘সুপারস্টার’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।