ব্রিটিশ কাউন্সিলে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের কারও প্রথম চেষ্টায় অনাকাঙ্ক্ষিত ফল এলেও এখন থেকে তাকে আর পুরো পরীক্ষা দিতে হবে না। বাংলাদেশে ওয়ান স্কিল রিটেক চালু হওয়ায় লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং অথবা স্পিকিংয়ের মধ্যে থেকে যেকোনো একটি সেকশনের পরীক্ষা দেওয়া যাবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, প্রতি সেকশনের ফরম্যাট ও সময় স্বাভাবিক আইইএলটিএস পরীক্ষার মতোই থাকবে। তবে, বাকি তিনটি সেকশনের দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা কাটিয়ে অনেকটা সময় বাঁচাতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা
আইইএলটিএস অ্যাট দ্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক এন্ড্রু ম্যাকেঞ্জি বলেন, গ্রাহকদের ফিডব্যাক অনুযায়ী এই ওয়ান স্কিল রিটেক ফিচারটি চালু করা হয়েছে। আমরা জানি যে সঠিক প্রস্তুতি এবং সহায়তার মাধ্যমে আমাদের পরীক্ষার্থীরা সেরা স্কোর অর্জন করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, তবুও যদি কেউ মনে করে থাকেন যে প্রথম চেষ্টায় তাদের ইংরেজি দক্ষতার সঠিক মূল্যায়ন পায়নি, তারা ওয়ান স্কিল রিটেকের মাধ্যমে শুধু একটি স্কিলে পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, এতে করে পরীক্ষার সঠিক মূল্যায়ন হবে। ওয়ান স্কিল রিটেক গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদনকারীর মানের সাথে আপস না করেও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আরও সহজ করে তুলতে পারবেন। পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নিয়ে আইইএলটিএস অংশীদাররা গর্বিত।
আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক বেছে নেওয়া পরীক্ষার্থীরা একটি দ্বিতীয় টেস্ট রিপোর্ট ফর্ম পাবেন, যা মাইগ্রেশন এবং অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। অর্জনকৃত স্কোরের ভিত্তিতে পুরনো অথবা নতুন টেস্ট রিপোর্টের মধ্যে যেকোনোটাই বেছে নিতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। আইইএলটিএসের মূল পরীক্ষার ৬০ দিনের মধ্যেই আইইএলটিএস ওয়ান স্কিল রিটেক বুক করা যাবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, নতুন এ ফিচার যুক্ত করার ফলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস টেস্ট এখন একমাত্র প্রধান হাই-স্টেকস টেস্ট, যার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের সেরা স্কোর অর্জনে সহায়তা করব। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহযোগিতা করে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে তুলতে পেরে আমরা গর্বিত।’