সাভারে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, পরে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সুবাদে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর সম্পর্ক পাকাপোক্ত করে বাসায় আমন্ত্রণ করত চক্রের নারী সদস্য। এরপর পুরুষ বন্ধুকে উলঙ্গ করে ছবি তুলে জিম্মি করে আদায় করতেন টাকা। এমন একটি চক্রের নারীসহ ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, ভোর রাতে সাভারের বাজার থেকে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন—ধামরাইয়ের ফুটনগর ফকিরপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৫), কুষ্টিয়া জেলার খুকমা থানার দেবীনগর গ্রামের মৃত মোতাহার মন্ডলের ছেলে আল-আমিন মন্ডল (৩২), ধামরাইয়ের ফুটনগরের ফকিরপাড়া এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে মো: রাজু (২৩), মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার নয়আনা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে শিউলি আক্তার রত্না ওরফে পূর্ণিমা (২৫)।
এ ঘটনায় ধামরাইয়ের ফুটনগরের ফকিরপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. দিপু (২৩)।
ভুক্তভোগীর নাম গ্রেফতার নাম বাবুল মিয়া (৫০)। তিনি সাভারের তালবাগের মহিলা কলেজ সংলগ্ন মৃত রস্তম আলীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী বাবুল ও পূর্ণিমার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। পরে তারা দুইজন বিভিন্ন স্থানে ঘুরতেও যান। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হয়। সর্বশেষ গতকাল বাবুলকে কৌশলে বাসায় নিয়ে যায় পূর্ণিমা ও চক্রের সদসরা। বাবুলকে বাসায় নিয়ে তাকে মারধর করে উলঙ্গ করে ছবি তুলে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আসামিরা। সর্বশেষ বাবুল দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হলে সাভার বাজরে গ্রেফতার একজনের হাতে দুই লাখ টাকা দিতে বলা হয়। তবে সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিলেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ। টাকা নিতে আসলে প্রথমে চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে পূর্ণিমাসহ বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ ঢাকা মেইলকে বলেন, এক রিয়েলস্টেট ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছিল। আমারা এদের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। দুপুরে আদালতে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় পলাতক দীপুকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।