মার্কিন এই অলাভজনক সংস্থাটি ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ২৪০ টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলের ডেটার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা প্রস্তুত করেছে।
এসিএলইডি ওয়েবসাইট অনুসারে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সহিংসতাপ্রবণ ৫০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। সম্প্রতি প্রকাশিত এ তালিকায় শীর্ষে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপ্রবণ দেশের তকমা পেয়েছে মিয়ানমার।
এরপরই রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন ও নাইজেরিয়া। এছাড়া ব্রাজিল, ইয়েমেন, ইরাক, কঙ্গো এবং কলম্বিয়া রয়েছে শীর্ষ দশে থাকা দেশগুলোর মধ্যে। তালিকার শেষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
তালিকায় ‘উচ্চ’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় ভারত ১৬তম এবং পাকিস্তান ১৯তম স্থানে রয়েছে। সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৫০তম।
যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকায় আসার অন্যতম কারণ হিসেবে আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং উগ্র ডান-পন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিস্তার লাভকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসিএলইডি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকন্সিন অঙ্গরাজ্যভিত্তিক একটি উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও তালিকা প্রণয়ন বিষয়ক অলাভজনক সংস্থা। বিশ্বের ২৪০টির বেশি দেশ এবং অঞ্চল থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে তারা। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু পর্যন্ত গত ১২ মাসে সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
আর এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ দেশই কমপক্ষে একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে, এই ৫০টি দেশকে, উচ্চ মাত্রার সংঘাতের কারণে ‘চরম’, ‘উচ্চ’, বা ‘অশান্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসিএলইডি’র যোগাযোগ বিভাগের প্রধান স্যাম জোনস বলেন, এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রমাণ করে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু দরিদ্র বা অগণতান্ত্রিক দেশেগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়।
তার দাবি, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিভাজন; বিশেষ করে, এই দুটি সূচকের অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ তালিকায় এসেছে।