সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে খুলনা বিভাগে ২৬ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের কর্মসূচি রেখেছে বিএনপি।
কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যে বিভাগীয় সমন্বয় সভা করেছে দলটি। অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করছেন। ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে ১৬০ কিলোমিটার রোডমার্চ শেষে খুলনার জিয়া হল চত্বরে ৫ লক্ষাধিক লোকের জনসমাবেশ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
রোডমার্চ শেষে খুলনার সমাবেশ সফল করতে বিএনপি নেতারা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তৈরি করা হচ্ছে তোরণ। পোস্টার সাটানো ও প্রচারপত্র বিলির কাজ চলছে। আজ থেকে মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণায় নামবে দলটি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে ১০ লাখ লিফলেট পৌঁছে গেছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ৫ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চকে ঘিরে চাঙ্গা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ২৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে ১৬০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে খুলনা নগরীর জিয়া হলের সামনে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। রোডমার্চকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে নগরীর প্রবেশ দ্বারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ২ শতাধিক তোরণ, নগরীর যশোর রোড, কেডিএ এভিনিউ, মজিদ সরণিসহ দলীয় কার্যালয়ে আলোকসজ্জার কাজ চলছে। এ ছাড়া রোববার থেকে নগরজুড়ে মাইকিং শুরু হবে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সকল স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। আওয়ামী অপশাসনে দেশের জনগণ আজ আর ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মানুষ এ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। দেশের জনগণের সাথে একাত্মতা পোষণ করে সরকারের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে বিএনপি রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে।
রোডমার্চ সম্পর্কে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বরের রোডমার্চ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। অতীতের বিভাগীয় মহাসমাবেশ, তারুণ্যের সমাবেশের চেয়ে জনসমাগম বেশি হবে। বিএনপির আন্দোলনে সা