বাংলাদেশসহ ৩০টির বেশি দেশে রাশিয়ান মুদ্রা ‘রুবল’ ব্যবহার করে বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
শনিবার বাংলাদেশে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়ার সরকার এই তালিকার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ব্যাংক ও ব্রোকার হাউসগুলো সে দেশের মুদ্রাবাজারে লেনদেন করতে পারবে। রাশিয়ার বন্ধু ও নিরপেক্ষ দেশের তালিকায় স্থান পাওয়ার কারণে বাংলাদেশ এই অনুমতি পেয়েছে।
তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে— আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কেমিনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ভারত-চীনসহ কয়েকটি দেশ ‘রুবলে’ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করলেও শুল্কহারসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে রাশিয়ার আলোচনা খুব একটা এগোয়নি।
সম্প্রতি রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ঢাকা সফরের আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দেশের একক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, তাদের কারেন্সিতে (রুবল) লেনদেন নিয়ে ভাসা ভাসা আলোচনা হতে পারে। কেননা আমাদের হাতে তো রুবল নেই।