ছায়াযুদ্ধ নয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও তাদের মিত্ররা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ।
শনিবার নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ল্যাভরভ বলেন, ‘আপনি একে যা ইচ্ছা বলতে পারেন। কিন্তু আসল কথা হলো, তারা আমাদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নিয়োজিত রয়েছে। আমরা একে হাইব্রিড যুদ্ধ বলতে পারি। তবে তা বাস্তবতাকে বদলায় না।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কার্যত আমাদের বিরুদ্ধে বৈরিতায় নিয়োজিত রয়েছে, তারা ইউক্রেনকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।’
ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ কিয়েভকে বিপুল অস্ত্র দিচ্ছে, এছাড়া সামরিক উপগ্রহ এবং গোয়েন্দা বিমানও তারা ব্যবহার করছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাশ্চাত্য ‘মিথ্যার সাম্রাজ্য’ সৃষ্টি করেছে, তারা যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন আদায় করার জন্য গ্লোবাল সাউথের ওপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য নব্য-উপনিবেশিক মানসিকতা গ্রহণ করেছে।
ল্যাভরভ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তার অধীনস্থরা দ্বন্দ্বকে আরও উসকে দিচ্ছে, যা কৃত্রিমভাবে মানবতাকে শত্রুতামূলক ব্লকে বিভক্ত করে এবং সামগ্রিক উদ্দেশ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা বিশ্বকে তাদের নিজস্ব আত্মকেন্দ্রিক নিয়ম অনুযায়ী খেলতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কির ১০ দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ছাড়াও কৃষ্ণসাগরীয় শস্য উদ্যোগ আবার চালু করার জাতিসংঘের প্রস্তাবও খারিজ করে দেন তিনি।
ল্যাভরভ বলেন, ‘এমনটা সম্ভব নয়। এমন প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এটা বাস্তবসম্মতও নয়। সবাই তা বোঝে। কিন্তু একইসঙ্গে তারা বলছে যে এটাই হবে আলোচনার একমাত্র ভিত্তি।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্য ও শক্তির বাজারের সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে বলেন, যারা দুর্বলদের ওপর ‘একতরফা জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা’ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।