চিত্রনায়ক আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আলমগীরকে নিয়ে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় একটি ভিডিওতে শিরোনামেই প্রকাশ করা হয়েছে ‘সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন আলমগীর’। এখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে আলমগীরের মৃত্যুর গুজব।
অনেকেই ফেসবুকে না বুঝেই, কোনোরকম নিশ্চিত না হয়েই আলমগীরকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যটাস দিচ্ছেন তিনি আর নেই। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার মধ্যেও ভীষণ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন আলমগীর। তার পরিচিত অপরিচিতসহ পরিবারের অনেকেই তাকে ফোন করছেন।
জানা যায়, যারা এসব কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের শনাক্ত করে আলমগীরের পরিবারের পক্ষ থেকে সাইবার ক্রাইমে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শনাক্তকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। কেউ অযথাই গুজবে কান দিবেন না। আমার জন্য সবাই মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।’
সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করছেন বলেও জানান এই চিত্রনায়ক, ‘মাছ, মাংসসহ সব ধরনের খাবার খাচ্ছি। এককালে মাংস অনেক প্রিয় হলেও এখন মাছ বেশি প্রিয়।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে করোনা প্রতিরোধী টিকা নিয়েছিলেন নায়ক আলমগীর ও তার স্ত্রী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। ১৭ এপ্রিল টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা। ১৮ এপ্রিল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে আলমগীরে শরীরে। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল আলমগীরের জন্ম রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার শৈশব-যৌবন কেটেছে তেজগাঁয়। আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ১৯৭৩ সালে অভিনয়ে আসেন তিনি। গত প্রায় চার দশকে ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন আলমগীর। নির্মাণ করেছেন ৭টি সিনেমা।