দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ বিষয়ে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ রোগ সম্পর্কে আলোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মাউশি থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি অপারেশনাল প্ল্যানের জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরণব্যাধি, এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ।
পৃথিবীতে প্রতি বছরে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়ে থাকে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়- জলাতঙ্কের অবসান, সবে মিলে সমাধান।
আরও বলা হয়, এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দিবসটি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পালনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে রোগটি নির্মূলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এই জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জলাতঙ্ক নির্মূলে করণীয় শীর্ষক আলোচনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।.
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ কার্যক্রম সফলভাবে আয়োজনের জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।