জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়া দল তৃণমূল বিএনপির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে দলটির চেয়ারপারসন করা হয়েছে শমসের মবিন চৌধুরীকে। আর মহাসচিব হয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তারা দুজনই বিএনপির সাবেক নেতা। দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও বিএনপির নেতা ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সাবেক কূটনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী সবশেষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১৮ সালে বিকল্পধারায় যোগদান করেন। নির্বাচনের আগে বিকল্পধারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। তখন জোটের মনোনয়ন না পেয়ে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নামলেও পরে নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানান শমসের মবিন।
আর অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০২২ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হন।
জাতীয় সম্মেলন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন তৃণমূল বিএনপির নেতারা।
সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে ও তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিম হুদা বলেন, ‘দেশে একটি সুস্থ রাজনীতির প্রচলন করতে হবে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
তিনি এসময় তার বক্তব্যে বাবা নাজমুল হুদার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের নানা বিষয় তুলে ধরেন।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায় তৃণমূল বিএনপি। এর তিন দিনের মাথায় মারা যান প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তার মৃত্যুর পর ৬ মে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদা।
তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন। সেখান থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি গঠন করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত এই দলের প্রতীক সোনালি আঁশ।