তিনি বলেন, ‘একসময় আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। অথচ এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ভয় পায়। কারণ তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কিন্তু জনগণ এবার সেই সুযোগ দেবে না, জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।’
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া থেকে রাজশাহী অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের ‘তারুণ্যের রোর্ড মার্চ’ কর্মসূচি পালনের সময় নওগাঁয় এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন ফখরুল। শহরের বাইপাস বরুনকান্দি এলাকায় এই পথসভা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয়ে যায়। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তির মাধ্যমে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।’
মামলার জালে বন্দি করে সরকার বিএনপিকে ভোট থেকে দূরে রাখতে চায় দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা। তারা মামলা ও জেলের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মী আর মামলার ভয় করে না।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী দিনে যেসব আন্দোলন কর্মসূচির ডাক আসছে, সেই সব আন্দোলনে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই। এই লড়াই জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।
পথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এইবার বাংলাদেশের জনগণের সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতেই হবে। বাংলাদেশের জনগণ কখনও হারেনি, এবারও হারবে না। এবার বাংলাদেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে চায়। দেশের মানুষ পাকিস্তানি দখলদারদের যেভাবে পরাজিত করেছে, এই দখলদারদেরকেও পরাজিত করবে।
পথসভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে ধলু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রোড মার্চটি আব্দুল জলিল চত্বর, মহাদেবপুরের নওহাটা মোড় ও মান্দার ফেরিঘাটে হয়ে রাজশাহীর পথে রওনা হয়।