বরিশালের হিজলা উপজেলার কানাবগীর চরে আসামি গ্রেফতারে যাওয়া মুলাদী থানা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ৬টি কার্তুজ, ৩টি গুলির খোসা ও বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
এর আগে, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকার চরগৌরবদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়ে দুর্বৃত্তদের ঘিরে ফেলে। তারা অবৈধ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য জড়ো হয়েছিল।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন—মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের চর কমিশনার গ্রামের আবুল কালাম সরদারের দুই ছেলে মো. কামাল সরদার (৪০) ও মো. জামাল সরদার (৩৫)। একই এলাকার মুজাহার সরদারের ছেলে মানিক সরদার (৪২)। ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর গ্রামের বাসিন্দা বশির মীরের ছেলে আলম মীর (৫০), মালেক সরদারের ছেলে মাসুম সরদার (২৬), রতন বেপারীর জুয়েল বেপারী (৩৫) ও জহিরুল ইসলাম মাঝির ছেলে মেহেদী হাসান মাঝি (২২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, মারধর করে সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া, বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন ধারার আসামি গ্রেফতারে মুলাদী থানা পুলিশ কানাবগীর চরে অভিযান চালায়। চরের রাজীব চৌধুরীর চর পাহাড়া ঘরের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশের ওপর দুর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তখন পাল্টা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘরটি ঘিরে ফেলে। টিনের ঘরটি তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটক দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।