মির্জা ফখরুল বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলনে সবাই একমত। এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচনে যাবে না। সংসদে জাতীয় পার্টির নেতারাও বলেছেন, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সুতরাং আমরা এক দফা দাবিতে আবারও কর্মসূচি ঘোষণা করব। যারা ভোট দিতে পারে না সেই তরুণ সমাজ এখন এক দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে তারা তারুণ্যের রোডমার্চ ঘোষণা করেছে। তাই বিএনপির পক্ষ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন কর্মসূচির ব্যাপারে জানানো হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান ও অধিকার পরিচালক এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইইউ পার্লামেন্টে রেজল্যুশন এনেছে, সাজা প্রত্যাহারের কথা বলেছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র নেই, সে কথা তুলে ধরেছে ইইউ পার্লামেন্টে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তা এখন প্রমাণিত। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে কেন?’ এটা শুনে আমরা অবাক হয়েছি। গত দুই নির্বাচন কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে করতে হয়েছে। এর জন্য এক দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে সাধারণ মানুষের কথা পড়ুন। এখনো সময় আছে, শুভবুদ্ধির উদয় হোক। প্রতিহিংসা, অহংকার ছেড়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করুন।
ফখরুল বলেন, সরকার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। সরকার একটি গণ্ডির মধ্যে আছে, আশপাশের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। সরকার আবার নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে, নেতা-কর্মীরা আদালতে হাজিরা দিতে ব্যস্ত। তারা কেউ বাসায় থাকতে পারেন না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে, দলীয়করণ করা হয়েছে। ন্যায়বিচার মিলছে না।