ক্রীড়াজগতের যে কোনো দলগত খেলাতেই বড় ভূমিকা রাখে উইনিং কম্বিনেশন। দলের সদস্যদের মাঝে বোঝাপড়া ধরে রাখতে কোচ-অধিনায়কসহ প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা থাকে দলের নিজস্বতা ধরে রাখা। তবে ব্যর্থতার এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল পায়নি তেমন কোন ধারাবাহিকতা। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে দুইটি আর সুপার ফোরে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে আরও একটি। প্রতিটি ম্যাচেই অন্তত একটি করে পরিবর্তন আনতেই হচ্ছে টাইগারদের।
কখনো ইনজুরি, কখনোবা অফফর্ম আবার কখনোবা পরীক্ষানির্ভর দল গঠন, ৫ ম্যাচের প্রতিটিতেই আছে দল বদলের ছাপ। এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচ শুক্রবার। যেখানে থাকছেন না আগের চার ম্যাচে থাকা মুশফিকুর রহিম। তাই ভারতের বিপক্ষে আরও একটি নতুন একাদশ নিয়ে নামবে বাংলাদেশ সেটি নিশ্চিত।
বাংলাদেশের এশিয়া কাপের মিশন শুরু হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে একজনের অভিষেক ঘটায় টাইগাররা। ওপেনার হিসেবে জায়গা পান তানজিদ হাসান তামিম। তবে অভিষেকটা সুখকর হয়নি তার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বলেই ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন জুনিয়র তামিম। বাংলাদেশও সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে বড় কিছু করতে পারেনি। ম্যাচটা টাইগাররা হারে ৫ উইকেটে।
পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন তানজিদ তামিম। সেইসঙ্গে আগের ম্যাচের শেখ মাহেদি হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমানও বাদ পড়েন। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে এসেই সেঞ্চুরি হাঁকান মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেক ঘটে শামীম পাটোয়ারির। শরিফুল ইসলাম এবং আফিফ দলে ডাক পান।
আফগানদের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ সুপার ফোরে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এই ম্যাচে বাদ যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনজুরিতে ছিটকে যান তিনি। তার বদলে স্কোয়াডে যুক্ত হন লিটন কুমার দাস। এই ম্যাচেও ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। বাধ্য হয়েই পরের ম্যাচে আসে পরিবর্তন।
লঙ্কানদের বিপক্ষে সুপার ফোরে আবার দেখা। ভেন্যু কলম্বোর প্রেমাদাসা। ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিন সহায়ক এর উইকেট। বাধ্য হয়েই টিম ম্যানেজমেন্ট নাসুম আহমেদের দ্বারস্থ হল এই ম্যাচে। তাকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়লেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া আফিফ।
শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। যেখানে দলে থাকবেন না মুশফিকুর রহিম। আর সবাই অপরিবর্তিত থাকলেও অন্তত একটি বদল থাকছেই টাইগার স্কোয়াডে। সেইসঙ্গে আরও বেশকিছু পরিবর্তন দেখলেও হয়ত অবাক করার কিছু থাকবে না।