খলনায়কদের পারফর্ম্যান্স যতই নিপুণ হোক না কেন, পারিশ্রমিকের হিসেবে সাধারণত তাঁদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন নায়কেরাই। কিন্তু সেই নজির ভেঙেছে এক বার। নায়কের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে নজর কেড়েছেন এক অভিনেতা।
১৯৯৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ডর’। খলনায়কের চরিত্রে শাহরুখ খানের অভিনয় সেই ছবির নায়ক সানি দেওলকে টক্কর দেওয়ার মতোই।
বলিউডে কোনো অভিনেতা ছবি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২০০ কোটি রুপি উপার্জন করেন। কিন্তু ত্রিশ বছর আগে এক অভিনেতা খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে ১৫০ কোটি রুপি উপার্জন করেছিলেন।
১৯৮৯ সালে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল টিম বার্টন পরিচালিত ‘ব্যাটম্যান’। এই ছবিতে ব্যাটম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মাইকেল কিটন।
১৯৮৯ সালে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল টিম বার্টন পরিচালিত ‘ব্যাটম্যান’। এই ছবিতে ব্যাটম্যানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মাইকেল কিটন।
টিম বার্টনের পরিচালনায় ‘ব্যাটম্যান’ ছবিতে জোকারের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন জ্যাক নিকোলসন।
হলিউডে কমেডি ঘরানার ছবিতে হাস্যরসে মোড়ানো চরিত্রে অভিনয় করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন মাইকেল। সুপারহিরোর চরিত্র বড় পর্দায় ফুটিয়ে তোলা মাইকেলের কাছেছিল ‘চ্যালেঞ্জিং’।
ব্যাটম্যান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেই সময় এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন মাইকেল।
যে সময় ‘ব্যাটম্যান’ মুক্তি পেয়েছিল সে সময় মাইকেলের তুলনায় জ্যাক অধিক জনপ্রিয় ছিলেন। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে মাইকেলের চেয়ে কোনও অংশে পারিশ্রমিক কম পাননি জ্যাক।
‘ব্যাটম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জ্যাকও এক কোটি টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন। পাশাপাশি ছবির লভ্যাংশ থেকেও কিছু পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা ছিল জ্যাকের।
‘ব্যাটম্যান’ মুক্তির পর বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে। পারিশ্রমিকের পাশাপাশি লাভের একটি বড় অংশ পান জ্যাক।
১৯৯৫ সালের হিসাব অনুযায়ী সব মিলিয়ে ‘ব্যাটম্যান’ ছবি থেকে ১৫০ কোটি টাকা উপার্জন করেন জ্যাক।
‘ব্যাটম্যান’ ছবি থেকে উপার্জন করে নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সর্বোচ্চ উপার্জনকারী নায়কের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেন জ্যাক।
৩০ বছর আগে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে জ্যাক যে ১৫০ কোটি টাকা উপার্জন করেছিলেন সে ঘটনা তাকলাগানো।