সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণমূলক স্যাটেলাইট হবে বঙ্গবন্ধু-২। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে স্যাটেলাইটটি তৈরিতে বিকল্প দেশ নিয়েও চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। এতে ব্যয় হতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা। মুনাফার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্যাটেলাইটটি আদৌ দরকার কিনা তা সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ হয় ২০১৮ সালে। টিভি চ্যানেলগুলোর সেবা নিশ্চিত করাই এ স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। এর সাহায্যে চালু করা হয় ডিশ টিভির ডিরেক্ট টু হোম সার্ভিস-ডিটিএইচ। এছাড়াও যেসব জায়গায় অপটিক ক্যাবল বা সাবমেরিন ক্যাবল পৌঁছায় না সেসব জায়গায় এই স্যাটেলাইটের সাহায্যে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগ। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে এক হাজার ৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার আর বাকিটা বিদেশি অর্থায়ন।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়্যারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর মধ্যে ৩টি স্যাটেলাইট এক সাথে থাকবে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪ হাজার কোটি টাকা। এটির কাজ হবে সমুদ্র ও ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ। যা রাশিয়ার গ্লাভকসমস এর তৈরি ও উৎক্ষেপণের কথা”।
“যুদ্ধের কারণে বিলম্ব হওয়ায় এই স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণে এখন অন্য দেশও বিবেচনায়”- বলেন শাজাহান মাহমুদ। বিশাল খরচের এই স্যাটেলাইট লাভজনক হবে কিনা বা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রয়োজন কিনা তা বিবেচনার তাগিদ বিশ্লেষকদের। প্রযুক্তি বিশ্লেষক আবু সাঈদ খান বলেন, “প্রথম স্যাটেলাইট থেকে কি আয় হচ্ছে এটিও সরকারের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন”।