১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে শরিফুলের বলে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে ফিরেছেন ফখর জামান। এরপর মাঠে নেমেছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম, ইমামের সঙ্গে বড় জুটির দিকেও এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি।
বাংলাদেশের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান এবং ইমাম উল হক। টাইগার পেসারদের সামলিয়েছেন বেশ সতর্কতার সাথেই। ফলে এ দুজনের জুটিও বড় হচ্ছিল ধীরে ধীরে। তবে দশম ওভারে শরিফুলের আঘাতেই ভেঙেছে এ ওপেনিং জুটি।
দশম ওভারে শরিফুলের করা প্রথম বলেই বল গিয়ে আঘাত করে ফখরের পায়ে। টাইগারদের জোরালো আবেদনের প্রেক্ষিতে এরপর আম্পায়ারও আঙুল তুলতে দ্বিধা করেননি। ফলে ৩১ বলে ২০ রান করেই ফিরতে হয় ফখরকে।
এরপর মাঠে নামেন বাবর। দেখেশুনে খেলে ইমাম এর সঙ্গে জুটি বড় করার দিকেই এগোচ্ছিলেন তিনি। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৩৯ রান। তবে ষোলোতম ওভারে তাসকিনের করা তৃতীয় বলেই স্টাম্প উপড়ে যায় বাবরের। ফলে ২২ বলে ১৭ রানেই ফিরতে হয় বাবরকে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে স্বাগতিকদের হাল ধরেন ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই টপ অর্ডারের ৮৫ রানের জুটিতে সুপার ফোরের প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। এবারের এশিয়া কাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন ইমাম। সর্বোচ্চ ৭৮ রানের করেন এই ওপেনার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাংলাদেশ শিবির ওপেনার মিরাজকে হারায়। নাসিম শাহর করা বল ব্লক করতে গিয়ে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয় বসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান।
এরপর ধস নামে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানি পেসারদের বোলিং তোপে চার টপ অর্ডার হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখান সাকিব-মুশফিক জুটি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের শতরানের জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর আভাস দেয়। তবে এ দুজনের বিদায়ের পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগাররা। পাকিস্তান পেসারদের বোলিং তোপে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ।