আজ ৬ সেপ্টেম্বর ঢালিউডের চুপ হয়ে যাওয়ার দিন। বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মাতমের দিন। কেননা ১৯৯৬ সালের এই দিন অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমান বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা সালমান শাহ। বছর ঘুরে দিনটি এলেই তার অনুরাগী ও সহকর্মীদের হৃদয় বেদনার নীল জলে ভেসে যায়। শোক হয়ে ওঠে স্রোতস্বিনী কোনো নদী।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে সালমান সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছেন শাবনূরের সঙ্গে। সালমান-শাবনূর জুটির রসায়নে মন ভরে গিয়েছিল দেশের সিনেমাপ্রেমীদের। ঢালিউডের অন্যতম জুটিতে পরিণত হন তারা। এতটাই সমাদৃত হন যে আজও সালমান নামটি নিলেই উঠে আসে শাবনূরের নাম।
তাই সালমানের চলে যাওয়ার দিনে সহকর্মীরা যখন স্মৃতিচারণা করতে থাকেন তাকে নিয়ে তখন নেটিজে্নদের পাখির চোখ থাকে শাবনুরের দিকে। প্রিয় সহকর্মীকে স্মরণ করে কী লিখবেন শাবনূর সেই অপেক্ষায় থাকেন তারা।
শাবনূরও এদিন বিশেষভাবে স্মরণ করেন সালমানকে। আকাশের ঠিকানায় না, নেটমাধ্যমে লেখা পোস্টে প্রকাশ করেন অব্যক্ত অনুভূতি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আজ নিজের ফেসবুকে তার সঙ্গে সালমানের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন। সিনেমার দৃশ্যের স্থিরচিত্র সেগুলো।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কোথায় হারিয়ে গেলে সালমান। তোমার স্মৃতিগুলো আজও আমায় কাঁদায়। অমর নায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর এখনও তাকে ভুলতে পারেনি চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষ ও তার সমর্থকেরা। যেখানে আছো ভালো থেকো স্বপ্নের নায়ক। তোমার মাগফেরাত কামনা করছি।’
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস ও ব্যক্তিত্ববোধের কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়ে ওঠেন এ নায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই সুপারহিট। মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধে চলচ্চিত্রে পা রাখলেও সালমানের বেশিরভাগ ছবির নায়িকা ছিলেন শাবনূর। এই জুটি তখন এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, তাদের কোনো ছবি মুক্তি পেলেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন।