আওয়ামী লীগকে আন্দোলন ও স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকা উজান ঠেলেই সারা জীবন এগিয়ে গেছে জানিয়ে সব বাধা উপেক্ষা করে আগামী দিনেও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সরকারপ্রধান।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে এই সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সড়ক ও সেতু পরিবহন আয়োজিত এই সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের অনেকে আছেন একটু আন্দোলন দেখলে ঘাবড়ে যায়। স্যাংশন দেখে ভয় পায়। আমাদের আন্দোলন ও স্যাংশন দেখিয়ে লাভ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে বাংলাদেশ তো ছয় ঋতুর দেশ। কখনও বৃষ্টি, কখনও ঝড়, কখনও বন্যা। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় শেখ হাসিনা কবিতার ভাষায় দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন- ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে; হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নৌকা সারা জীবন উজান ঠেলে ঠেলেই এগিয়ে গেছে। নৌকা এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকাই স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে।’
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা নিজের একমাত্র কাজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ একটাই, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আমরা যে ওয়াদা করেছি, তা পালন করেছি। কবি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আসার পরেই এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন শুরু হয়। আমরা সেভাবেই কাজ করে গেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমগ্র উন্নয়ন কাদের স্বার্থে? জনগণের স্বার্থে। জনগণের জন্য আমরা উন্নয়ন করেছি, করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের খাবার নিজে খাবো, কারও কাছে হাত পাতব না। জাতির পিতা বলেছিলেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমাদের কারও কাছে হাত পাততে হবে না।’
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেউ বেকার থাকলে হবে না। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে বিনা জামানতে ঋণ নিয়ে কিছু না কিছু করতে হবে৷’