গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং এর একটি গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান নতুন করে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে উত্তর কোরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহায়তা করে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। পিয়ংইয়ং এর পক্ষ থেকে গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের বিষয়ে এই বছরে এটি দ্বিতীয় প্রচেষ্টা।
এছাড়া এ সপ্তাহের গোঁড়ার দিকে উত্তর কোরিয়ার একটি সামরিক মহড়া চালায়। এই মহড়ায়, পুরো দক্ষিণ কোরিয়া দখল এবং কৌশলগত পারমাণবিক হামলার অনুশীলন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নিষেধাজ্ঞা এই মহড়ার সঙ্গেও সম্পর্কিত। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটি উত্তর কোরিয়ার রিউ কিয়ং প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি এবং তার প্রধান রিউ কিয়ং-চোল ও চীনের শাখা কার্যালয়ের আরো চারজনসহ সেই ফার্মের সাথে যুক্ত পাঁচ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের মতে, দক্ষিণ কোরিয়া হলো প্রথম দেশ, যারা উত্তর কোরিয়াকে স্যাটেলাইট এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান তৈরিতে সহায়তা করার মতো কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং কোম্পানির নাম উল্লেখ করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে জড়িত তিনটি গ্রুপ এবং চারজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাতসুনো হিরোকাজু মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদদাতাদের বলেন, তার সরকার উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রক্ষা করবে।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ বৃহস্পতিবার এক পৃথক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায়, রাশিয়া ভিত্তিক দুজন ব্যক্তি জন জিন ইয়ং, সের্গেই মিখাইলোভিচ কোজলব এবং এন্টেলেক্ট এলএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতাভূক্ত করেছে।
উত্তর কোরিয়ার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কার্যকলাপ মোকাবেলায়, দেশ তিনটি তাদের মিত্রদের সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ব্যবহারকে তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।