রাজধানীর মুগদার মদীনাবাগ মাছের বাজারের পাশেই একটি শুটকির দোকান। মাছের বাজার থেকে বের হয়ে এলেন লাবু মিয়া। বিভিন্ন শুটকির দাম জিজ্ঞেস করার পর ৯০ টাকা দিয়ে কাচকি মাছের শুকটি কিনলেন ১০০ গ্রাম।
কথা হয় লাবু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাছের যা দাম, কিছু দিন আগেও ১২০-১৩০ টাকা দিয়া এক কেজি তেলাপিয়া মাছ পাওন যাইত। অহন সেই মাছ হয়ে গেছে ২৩০ টাকা। একশ টাকা দিয়া হাফ কেজি মাছও পাওন যায় না। হাফ কেজি মাছ খাওয়ার থেইকা শুটকি খাওয়া লাভ। ১০০ টাকার শুটকি কিনলে দুই দিন খাওন যাইবো।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে লাবু মিয়ার মতো অনেকেই এখন মাছ না কিনে শুটকি কেনার হিসাব-নিকাশ করছেন। শুটকির দামও আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। শুক্রবার কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, মলা মাছের শুটকি বিক্রি হচ্ছে একশ গ্রাম ৯০ টাকা, সে হিসেবে প্রতি কেজি দাঁড়াচ্ছে ৯০০ টাকা। এছাড়াও কাচকি মাছের শুটকি একশ গ্রাম ৯০ টাকা, পুটি মাছের শুটকি একশ গ্রাম ১২০ টাকা, লইট্যা মাছের শুটকি একশ গ্রাম ১৪০ টাকা, চ্যাপা শুটকি ৮০ টাকা, চিংড়ি শুটকি একশ গ্রাম ১২০-১৪০ টাকা।
এদিকে বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও ফের লাগামহীন সবজির দাম। ষাটের নিচে তেমন কোনো সবজি নেই বললেই চলে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পেঁপের ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
এছাড়াও নতুন সবজি হিসেবে টমেটো ১৪০, মুলা ৬০, কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি, পুইশাক ৪০ টাকা, পাটশাক আঁটি ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রতিটি সবজি ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লা মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। তবে ডজন প্রতি ৫-১০ টাকা কমে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫৫ টাকা ডজন।
মাছের বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম সাধার