দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কমিয়ে গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ পরামর্শ দেন। কুয়েট অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবু নঈম শেখ, কুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক তথা সম্মান ডিগ্রিকে টার্মিনাল ডিগ্রি হিসেবে গণ্য করা উচিৎ। একই সঙ্গে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে গবেষণায় বেশি নজর দিতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যাবে।
তিনি প্রকৌশল শিক্ষায় স্নাতক পর্যায়ে ৪০ জন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির পরামর্শ দেন।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করতে পারে। এই বৃত্তির অর্থের পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে একজন শিক্ষার্থী বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারে।
এছাড়া, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঋণের ব্যবস্থাও করতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসন বিভাগের এ সদস্য আরও বলেন, শিক্ষার্থী ও বিভাগের সংখ্যা দিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগতমান পরিমাপ করা যায় না। সংখ্যা না বাড়িয়ে কীভাবে শিক্ষা ও গবেষণায় মান অর্জন করা যায় সেদিকে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে।
নতুন বিভাগ খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে চাহিদা ও চাকরির সুযোগ আছে এমন বিভাগ খোলার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। বিভাগ খোলার সময় প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো আছে কি না এসব বিষয়ে দেখতে হবে।
বিভাগ খুলে জনবল ও অবকাঠামো সংকটের কথা বলা যাবে না বলে তিনি জানান।
এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে এবং সঠিক নিয়মে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি আহ্বান জানান।