প্রাথমিক তালিকা ঘোষণার পর বেশকিছু পর্যবেক্ষক সংস্থা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। পরে কোনো সংস্থার বিষয়ে আপত্তি থাকলে জানাতে বলা হলেও সেখানে খুব একটা সাড়া মেলেনি। ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৬৮টি সংস্থা। যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে আপত্তি জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে।
এর আগে আইনে না থাকলেও বাছাইয়ে টিকে যাওয়া একাধিক সংস্থার সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি সংস্থা পর্যবেক্ষক হওয়ার আবেদন জানায়। গত ৮ আগস্ট প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করে আপত্তি আহ্বান করে সংস্থাটি। এরপর কেবল মানিকগঞ্জের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন নামে সংস্থাটির বিষয়ে একটি আপত্তি ইসিতে জমা পড়েছে। ফলে অবশিষ্ট ৬৭টি সংস্থার নিবন্ধন প্রায় নিশ্চিত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন সংস্থাটির নামের শেষে কমিশন শব্দ থাকায় আপত্তি এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৩০ আগস্ট ছিল আপত্তি জানানোর শেষ সময়। এই সময়ের মধ্যে একটিমাত্র আপত্তি জমা পড়েছে। এখন কমিশনের কাছে নথি উপস্থাপন করা হবে। কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই কার্যকর হবে। আর যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি আসেনি, তারা নিবন্ধন পেয়ে যাবে।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য ভোট পর্যবেক্ষণে সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন দিয়ে থাকে।
আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সে লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ করছে কমিশন।