বাসস্থান সংকট তীব্র হওয়ায় অবিবাহিত কিংবা সঙ্গীহীন অর্থাৎ একক পুরুষ আশ্রয়প্রার্থীদের আপাতত আশ্রয় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র বেলজিয়াম।
এক ঘোষণায় মঙ্গলবার একক পুরুষদের আশ্রয় আবেদন সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি জানিয়েছে দেশটির সরকার। শিশু ও পরিবারগুলোর আবাসন ব্যবস্থায় স্থান দিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের
গেল বছর থেকে বেলজিয়ামে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের বাসস্থান যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার৷ তীব্র আবাসন সংকটে ভুগছে ব্রাসেলস কর্তৃপক্ষ।
অস্থায়ী স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক সেক্রেটারি অফ স্টেট নিকোল ডি মুর বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, শিশুসহ আশ্রয়প্রার্থী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শীতকালে শিশুদের রাস্তায় থাকতে হবে, এ বিষয়টি আমরা এড়াতে চাই।’
দেশটির আশ্রয় বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ফেদাজিল এই স্থগিতাদেশ কতদিন বহাল রাখবে, তা অবশ্য খোলাসা করে বলেননি ফ্লেমিশ খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ডি মুর।
বরং অভিবাসীদের বোঝা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো অসমভাবে বহন করছে বলে ইঙ্গিত করেছেন ডি মুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘদিন ধরে তার ন্যায্য অংশের চেয়ে বেশি করে আসছে। কিন্তু এটি আর এভাবে চলতে পারে না৷ প্রায় সমান জনসংখ্যার দেশ হয়েও চলতি বছর বেলজিয়ামে নিবন্ধিত আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার এবং পর্তুগালে মাত্র দেড় হাজার।’
চলতি বছর গোটা ইউরোপে অভিবাসীদের চাপ বেড়েছে জানিয়ে ডি মুর ইঙ্গিত করেন সুইডেনের দিকে। বলেন, দেশটিতে খুবই কমসংখ্যক আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে।
জুনের শুরুতে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের মধ্য দিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের বোঝা ভাগ করে নিতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। যারা আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দিতে আপত্তি করবে, তাদের অর্থ দিতে হবে বলেও একটি ধারা আছে সেই নীতিমালায়।
তবে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ এটির বিরোধিতাও করছে৷ এ নিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিতণ্ডাও চলছে। তবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একমত হতে পারলে নীতিমালাটি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট থেকে অনুমোদন করাতে হবে। তখন, অভিবাসীদের বোঝা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে।
একে