গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ৭ বছর পর বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঘটেছিল হোলি আর্টিজান হামলা,যা ওই সময় বাংলাদেশের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের অনুকরণে পরিচালিত সেই জঙ্গি হামলার পর আন্তর্জাতিক বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়েছিল বাংলাদেশ।
ভয়াবহ সেই জঙ্গি হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৭ জন ছিলেন জাপানের নাগরিক ও জাইকার স্বেচ্ছাসেবক।
ওই সময় বাংলাদেশে কাজ করছিলেন জাইকার ২০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। হামলার পর তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নেয় জাপান। সেই সঙ্গে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানোয় স্থগিতাদেশ দেয় দেশটি।
জাইকার বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, জাইকা বর্তমানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে বিবেচনা করছে এবং আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে হিসেবে সংস্থাটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের তত্ত্বাবধানে সহায়তা করতে স্বল্পমেয়াদী অবস্থানের জন্য দুজন তরুণ স্বেচ্ছাসেবককে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
উল্লেখ্য, জাইকার স্বেচ্ছাসেবকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২ বছর পর, অর্থাৎ ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেন।