পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সূচনা প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত খর্বকায়তা উল্লেখযোগ্য কমে এসেছে। বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতির কারণে মানুষ আর এখন ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায় না। কিন্তু আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়ে গেছে, যা মোকাবিলা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আয়োজিত ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন আয়োজিত সূচনা প্রকল্পের ফলাফল’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. নাহিদ রশিদ বলেন, আয় বৈষম্য অবশ্যই দূর করতে হবে। তবে এটি একক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয় বরং সরকারের সব সেক্টরের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আচরণ পরিবর্তন করা দরকার, যাতে বাংলাদেশের মানুষ আরও প্রাণীজ প্রোটিনের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় এবং ভাত ও শস্যের ওপর খুব বেশি নির্ভর না করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়- ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর (আইডিএস) চূড়ান্ত মূল্যায়ন এবং সূচনা প্রকল্পের উপাত্তগুলো দেখায় যে, খর্বকায় শিশুর হার তিন বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। সূচনা প্রকল্প খর্বকায়তার তাৎক্ষণিক, অন্তর্নিহিত এবং মৌলিক চালকগুলোর অনেকগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য একটি টেকসই এবং অর্থপূর্ণ উপায়ে অবদান রেখেছে।
অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার প্রমুখ।