২৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে মার্কেট ও শপিং মল খুলছে। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা শনিবার দোকানপাট ধোয়া মোছাসহ মালামাল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের জন্য খুলে দেয়া না হলেও ব্যবসায়ীদের জন্য মার্কেটের গেট খুলে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে ভ্যানগাড়ি, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও রিকশাযোগে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে মালামাল দোকানে এনে রাখা হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও অর্ডার অনুযায়ী মালামাল বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।
দুপুরে রাজধানীর চাঁদনী চক মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভ্যানগাড়ি থেকে নারীদের পোশাকের বস্তা নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। দোকান কর্মচারীরা বুঝে নিয়ে নিজ নিজ দোকানে মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। আহসান উল্ল্যাহ নামের এক দোকান কর্মচারী জানান, আজ থেকে দোকানপাট খুলে যাবে। তাই কামরাঙ্গীরচরের ফ্যাক্টরি থেকে ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা মালামাল এনে রাখছেন।
তিনি জানান, গত তিন সপ্তাহ যাবত দোকানপাট বন্ধ থাকায় মালিকের পাশাপাশি তাদেরও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর রমজান মাসে তারা বেতন ও বোনাস পান। গতবার ১৫ রমজানের পর দোকানপাট খোলায় বোনাস ও বেতন অর্ধেক পেয়েছেন। মালিকের ইনকাম না হলে পুরোপুরি দেয়া সম্ভব না তাও স্বীকার করেন তিনি । একাধিক মার্কেটের দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটে কেনাবেচা করবেন। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারাও প্রতিটি মার্কেট ও শপিং মলে নিজস্ব আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মার্কেট খুলে দেয়া হলেও দোকান মালিক কর্মচারীরা বলছেন, রোজা রেখে সাধারণত ইফতারের পরেই মার্কেটে বেশি ক্রেতার ভিড় হয়। লকডাউনে সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকায় এবং গণপরিবহন চলাচল না করায় কতটুকু ক্রেতা সমাগম হবে তা নিয়ে তারা ভীষণ চিন্তিত।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লকডাউনে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে সকাল মার্কেট খুলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ ঘোষণায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। ফলে এখন সারাদেশের ব্যবসায়ীরা মার্কেটে খুলে দেয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন।