সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান। তবে তার আগে তাকে অনেকগুলো জটিল মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এমন অবস্থায় উপায় না পেয়ে আত্মসমর্পন করবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে দায়ের করা নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন তিনি। খবর সিএনএনের
ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা পোস্টে টাম্প বলেন, ‘আমি আগামী বৃহস্পতিবার আটলান্টায় যাচ্ছি গ্রেপ্তার হতে।’ ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এগিয়ে থাকা ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও উল্লেখ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার জর্জিয়ার রাজধানী আটলান্টার একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জর্জিয়ার তৎকালীন স্টেট সেক্রেটারিকে ফোন করে নির্বাচনের ফলাফল তার পক্ষে করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন—এমন অভিযোগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প তা মানতে নারাজ ছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, জর্জিয়ার ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন। সেখানে খারাপ কিছু ঘটেছে। তা না হলে তিনি কিছুতেই সেখানে হারতে পারেন না। জর্জিয়ায় ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।
জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টির তদন্ত কর্মকর্তারা সোমবার কাউন্টি আদালতের বিচারক রবার্ট ম্যাকবার্নির কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, মোট ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে তবে অভিযোগগুলো কী কী এবং কে বা কারা এতে অভিযুক্ত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের কাছে মাত্র ১১ হাজার ৭৭৯ ভোটে হেরে যান। পরে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেনস্পার্জারকে ফোন করে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অনুরোধ করেন। ট্রাম্প রাফেনস্পার্জারকে বলেন, তার জয়ের জন্য আরও ভোটের ‘ব্যবস্থা’ করতে। অবশ্য রাফেনস্পার্জার ট্রাম্পের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এই ঘটনার চার দিন পর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল তথা পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালায় এবং বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা না দিতে দেশটির আইনপ্রণেতাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।