ভারতের উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে এক মুসলিম দম্পতিকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এনডটিভির খবরে বলা হয়েছে, আব্বাস ও তার স্ত্রী কামরুল নিশার ছেলের সঙ্গে হত্যায় অভিযুক্ত একজনের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনার জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আব্বাস ও কামরুল নিশার।
দম্পতির মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্ত দুজন পলাতক রয়েছেন। সীতাপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) চক্রেশ মিশ্র জানান, কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান আব্বাসের ছেলে শওকত। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় আব্বাসের ছেলেকে।
পুলিশ জানায়, কয়েক দিন আগে শওকত কারামুক্ত হন। এর জেরে প্রতিবেশী মেয়েটির পরিবারের কিছু সদস্য শওকতের মা-বাবার ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন।
চক্রেশ মিশ্র বলেন, ‘গ্রামবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রাণ হারানো দম্পতির ছেলে শওকতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রামপালের মেয়ে রুবির। ২০২০ সালে রুবিকে অপহরণ করেন শওকত। সেই সময় রুবি কম বয়সী ছিল এবং মামলার পর পুলিশ শওকতকে জেলে পাঠায়। চলতি বছরের জুনে সে (শওকত) আবার রুবিকে অপহরণ করে বিয়ে করে।’
পুলিশ জানায়, দম্পতিকে হত্যার ঘটনায় প্রধান তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দুজনকে ধরতে অভিযান চলছে।
ভারতে গুরুতর অপরাধ ছাড়াই মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনা হরহামেশা ঘটে। তারই সর্বশেষ বলি হলেন আব্বাস ও তার স্ত্রী।