নাইজার অভ্যুত্থানে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করা দেশটির সামরিক শাসক তিন বছরের মধ্যে ক্ষমতা স্থানান্তরের প্রস্তাব করেছেন। পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করার পরে তিনি এ প্রস্তাব করেন। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন নাইজারে বিদেশিদের সামরিক হস্তক্ষেপ সহজ হবে না।
এ বিষয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ‘নাইজারের সামরিক শাসক জেনারেল জেনারেল আবদুর রহমান ছিয়ানি পশ্চিম আফ্রিকার জোট ইকাওয়াসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, নাইজার সরকার নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।
শনিবার রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে জেনারেল ছিয়ানি একথা জানান। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের নেতারা কিংবা নাইজারের জনগণ যুদ্ধ চায় না বরং সংলাপে বসতে আগ্রহী। তিয়ানি বলেন, “যদি আমাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হয় তাহলে জেনে রাখতে হবে, সে আগ্রাসন পার্কে হেঁটে যাওয়ার মতো সহজ কোনো বিষয় হবে না।”
ইকোওয়াস একটি বিদেশি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে একটি আগ্রাসী সেনাবাহিনী গঠন করতে চায় বলে দাবি করেন জেনারেল ছিয়ানি। তবে তিনি ওই বিদেশি রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
নাইজারের সামরিক শাসক বলেন, তিনি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে চান। জেনারেল ছিয়ানি দাবি করেন, তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে আসেননি বরং সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্র পুনর্বহাল করে ব্যারাকে ফিরে যাবেন।
নাইজারের ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের প্রধান জেনারেল ছিয়ানি গত ২৬ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেকে নাইজারের শাসক বলে ঘোষণা করেন।
এরপর গত ৩০ জুলাই পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ জাতির জোট ইকোওয়াস ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য অভ্যুত্থানকারী নেতা ছিয়ানিকে এক সপ্তাহের সময় দেয়। ওই সময়সীমা মেনে না নিলে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেয় ইকোওয়াস। গত ৬ আগস্ট রোববার ওই সময়সীমা শেষ হয়েছে।