‘এবার ডেঙ্গুর প্রকোপটা বেশি। শনাক্তের হারটাও বেশি। আমাদের আবহাওয়া মশার বংশবিস্তারে সহায়ক। মশা নিধনে আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি তার বিরুদ্ধে মশা একটা প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলেছে। ডেঙ্গু মশা আরও বেশি স্মার্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি আমাদের শহরে কনস্ট্রাকশনের কাজ এখন অনেক বেশি হচ্ছে। এবার বৃষ্টিপাত ও বেশি। ছাদে, টবে বা নির্মাণাধীন এলাকায় ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার বেশি করছে।’
শুক্রবার প্রেস ক্লাবের সামনে আরিজ ফাউন্ডেশন ও সার্চ স্কেটিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত মশারি র্যালিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
র্যালি প্রসঙ্গে আরিজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, মানুষ অনেকটা সয়ে গেছে। ১০-১৫টা মৃত্যুতে তারা কোনো কিছু মনে করছে না। যার পরিবার থেকে কেউ মারা যাচ্ছে, তার পরিবার পুরোটাই গেছে। মানুষের সয়ে যাওয়াটা বেড়ে গেছে। তারা এখন সচেতন নয়। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে একটা উপায় আছে। সেটা হলো মশারি। মশারি টাঙানোতে উদ্বুদ্ধ করতে আজকে আমাদের এই র্যালি।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার অনেক উপায় আছে। এখন পর্যন্ত একটাই কার্যকর হয়েছে সেটা হল মশারি। ডেঙ্গু মশা তার বংশ বিস্তার করতে রক্ত লাগে। মানুষ যদি মশাকে কামড়ানোর সুযোগ না দেয় তাহলে তা আর ছড়াবে না। মশারি সবচেয়ে কার্যকর, এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মশা এখন রাতেও কামড়ায়। সে জন্য মানুষকে সচেতন করতে দিনে ও রাতে মশারি টাঙাতে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এ র্যালির আয়োজিত করছি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা নিতে রোগীরা গাফিলতি করছে। কিছু চিকিৎসকও এবার মারা গেছেন। আমরা রোগটাকে পাত্তা দিচ্ছি না। শিশু ও নারীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণ জ্বর মনে করে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা নিচ্ছে না।