দশটি দলের সমন্বয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানা গেছে। জোটটি বলছে, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। কিন্তু এ নির্বাচনকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম হলে গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।
ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এসএম আশিক বিল্লাহ বলেন, গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশ্বাসী। পৃথিবীর প্রায় শতকরা ১৬ ভাগ দেশে যেভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আমাদের দেশেও সেই একই পন্থায় জাতীয় নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে শুধু তিনিই নন, বাংলাদেশও আজ পৃথিবীর রোল মডেল। তিনি বাংলাদেশকে আজ পৃথিবীর বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন। বিশ্বনেতারাও শেখ হাসিনাকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অনুকরণ করেন, শেখ হাসিনার তুলনা শুধুই শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে, সেই নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসাতক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বিরোধী বন্ধুদের বলব, আর জ্বালাও পোড়াওসহ জনগণ ও সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করবেন না। দেশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবেন না, বিদেশীদের কাছে আর নালিশ করবেন না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখি। নির্বাচন কমিশন সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের ব্যানারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আরও কিছু নতুন দলও যোগ হতে পারে। এ জোট আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ইন শা আল্লাহ।
গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের শরিক দলগুলো হচ্ছে— ডেমোক্রেটিক পার্টি; বাংলাদেশ জাতীয় লীগ; প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক লীগ; গণধিকার পার্টি; ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি; বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টি; জাতীয় কৃষক শ্রমিক পার্টি; বাংলাদেশ মানবিক আন্দোলন পার্টি; বাংলাদেশ সার্বজনীন পার্টি এবং বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন পার্টি।