লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান মু. তামিমকে হত্যা দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শাহ মো. রাকিব এ হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ঘটনাটি তাৎক্ষণিক তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান মু. তামিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা রাকিব ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন তার কাছে একটি জমির দলিল করে দেওয়ার জন্য এসেছে। কিন্তু জমির মালিক দাবিকারী প্রবাদ দাস ভারতীয় নাগরিক। ওই জমির দলিল স্থগিতের জন্য অপরূপ দাস নামে একজন অভিযোগ করেছেন। এছাড়া আইন অনুযায়ী জমির দলিলটি করা সম্ভব নয়। এরপরও রাকিব দলিল করে দেওয়ার জন্য তাকে ৫ লাখ টাকা দেবে বলেছে। এতে তিনি রাজি হননি। সম্প্রতি জমির মালিক দাবিকারী প্রবাল কয়েক দিন আগে মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জমিটি রাকিব ক্রয় করতে চেয়েছিল। কিন্তু জমির মালিক দাবিকারীর মৃত্যুতে ও দলিল না থাকায় তিনি জমিটি ক্রয় করতে পারেননি।
সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান মু. তামিম বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে রাকিব আমাকে কল দেয়। জমির দলিল করে না দেওয়ায় তিনি আমার সঙ্গে শুরু থেকে উত্তপ্ত বাক্যে কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রামগতি ছাড়ার জন্য হুমকি দেয়। তা না হলে তিনি আমাকে মেরে বের করে দেবেন। অথবা কিভাবে বের করে দিতে হয় তা তিনি জানেন বলে হুমকি দেন। তিনি আমাকে পরোক্ষভাবে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এতে পরিবার নিয়ে আমি আতঙ্কে রয়েছি। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করব।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শাহ মো. রাকিব বলেন, আমার বন্ধুর জমির দলিলের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইনি জটিলতা দেখিয়ে তিনি দলিলটি করেননি। এদিকে আমার বন্ধুর বাবা প্রবাল দাস মারা গেছেন। বিষয়টি আমি তাকে জানানোর জন্য কল দিয়ে কথা বলেছি। তাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তাকে ৫ লাখ টাকা অফার করার ঘটনাটিও মিথ্যা। আর ওই জমি ক্রয় করার কোনো পরিকল্পনাও নেই।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। সাব-রেজিস্ট্রার আমাকে ঘটনাটি জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।