বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। বিজিবির দাবি, গোলাগুলিতে নিহত মো. ইব্রাহিম (৩০) ব্যক্তি ইয়াবা কারবারি। এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে দেশিয় তৈরি ১টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও ৮০ হাজার ইয়াবা। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার আমবাগান নামক স্থানের পাহাড়ের ঢালুতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইব্রাহিম উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১-এর সৈয়দ আলমের ছেলে। কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এমন সংবাদ পাওয়া যায়। এতে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্ত পিলার-৩৮ হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার আমবাগান নামক স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান করে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার রাতে ৫-৬ জনের ১টি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় টহল দল তাদের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ভেতরে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মো. ইব্রাহিমকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় এবং তার পার্শ্বে ইয়াবাসদৃশ বস্তু ও দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম ও ঠিকানা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ২ জন বিজিবি সদস্য আহত হন এবং আহত বিজিবি সদস্যদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।