আবারও প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরীক্ষা বন্ধ হলেও ভিন্ন আঙ্গিকে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুবুর রহমান তুহিন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এটি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ছিল। শিক্ষামন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। আমাদের প্রতিমন্ত্রী স্যার সভায় সভাপতিত্ব করেন। সেখানে এই বৃত্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বৃত্তি পরীক্ষা না থাকলেও ভিন্ন আঙ্গিকে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।তবে বৃত্তি প্রদানে কী কী মানদণ্ড থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এটুকুই জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুসারে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রথম এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। যা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও বাস্তবায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত তিন বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। আগামী দিনেও এ পরীক্ষা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও না নেওয়ার ঘোষণা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
পিইসি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১৩ বছর পর গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা চালু হয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোচিংমুখী হয়ে পড়ে। তাদের কোচিংনির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হলো।
২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালু হওয়ার পর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। পিইসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হতো।