পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়াস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস) এর সময়সীমা শেষ হওয়ার পরই নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে নাইজারের ক্ষমতা দখল করা জান্তা। দেশটিতে আরও লড়াইয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইকোয়াস নাইজারে সদ্য গঠিত সেনা শাসককে জানিয়েছিল যে, রোববারের মধ্যে শাসনক্ষমতা দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ফেরত দিতে হবে। নইলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো যৌথভাবে নাইজারের সেনা শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
কয়েক দিন আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা নেওয়া জান্তা সরকার জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য এটি বলবৎ থাকবে।
বিবিসি ও ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’ দেখাচ্ছে, দেশটির আকাশের ওপর দিয়ে কোনো বিমান চলছে না।
নাইজারের জান্তা সরকার ঘোষণা দিয়েছে, দেশের আকাশসীমা আপাতত বন্ধ রাখা হবে। বহির্শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সেনা অফিসারদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের চিফ গার্ড।
খবরে বলা হয়েছে, দেশের সংবিধান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সব সরকারি দফতর থেকে সাবেক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে জারি করা হয়েছে সামরিক শাসন।
দেশের সাবেক প্রধান এখনো সেনার জিম্মায় রয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো তার হাতেই পুনরায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা একত্রে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, রোববারের মধ্যে সেনা ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে তারা আক্রমণ করতে বাধ্য হবেন।
প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আরও একটা যুদ্ধ শুরু হবে নাইজারে? বিশ্বের অন্যতম গরিব দেশ নাইজার। উগ্রপন্থীরা এই অঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয়। মনে করা হচ্ছে, সেনার যে অংশ ক্ষমতা দখল করেছে তাদের সঙ্গে উগ্রপন্থীদের যোগাযোগ আছে।
এদিকে পশ্চিমারা মনে করছে নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে হাত রয়েছে রাশিয়ার বেসরকারি আধা-সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের। দেশটিতে সেনাদের পক্ষেও অনেক মিছিল হয়েছে। সেখানে তাদের রাশিয়ার পতাকা ওড়াতে দেখা গেছে।