অবৈধভাবে অবস্থান ও রেসিডেন্ট পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা ২৫২ বাংলাদেশিকে আটক করেছেন। শুক্রবার গভীর রাতে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চেরাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এই বাংলাদেশিরা ছাড়াও অন্যান্য দেশের আরও ১৭৩ জন অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।
কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক শামসুল বদরিন মহশিন বলেছেন, চেরাস এলাকায় বিদেশিদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং তারা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর দুই সপ্তাহ ধরে ওই এলাকায় তদন্ত এবং নজরদারি চালানো হয়। অভিযোগের সত্যতা মেলায় শুক্রবার গভীর রাতে চেরিয়া হাইটস অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিবাসন কর্মকর্তা ও কর্মীদের ৬০ জনের একটি দল রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় বৈধ নথিপত্র না থাকা, অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পরও অবস্থান করার অভিযোগে মোট ৪২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানের পর এক সংবাদ সম্মেলনে কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আটককৃতদের মধ্যে ২৫২ বাংলাদেশি, মিয়ানমারের ১০৮, ফিলিপাইনের দুই, ইন্দোনেশিয়ার ৩০, কম্বোডিয়ার ছয়, নেপালের ২০ এবং পাকিস্তানের সাতজন নাগরিক রয়েছেন। যাদের প্রত্যেকের বয়স আট থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। আটককৃতদের মধ্যে ৩৭২ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী।’
তিনি বলেন, আটককৃত বিদেশিরা নির্মাণ ও পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করতেন বলে তদন্তে দেখা গেছে। অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে অভিবাসন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে কয়েকজন বিদেশি বোতলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ছুড়ে আগ্রাসী আচরণ প্রদর্শন করলেও কোনও হতাহত হয়নি।
শামসুল বদরিন মহশিন বলেন, ওই এলাকায় অনেক বিদেশি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছেন। যাদের কাছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্ড এবং বৈধ ওয়ার্ক পারমিট আছে।
তিনি বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আটককৃতদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-র ১৫(১)(সি) এবং ৬(১)(সি) ধারার আওতায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।