জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব বলেছেন, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এমনটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। কারণ তার অধীনে নির্বাচন হলে ভোট ব্যালটে হবে না। এজন্য আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছি।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ড. আবু ইউসুফ সেলিমসহ গ্রেপ্তার হওয়া সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আ. স ম রব বলেন, এ সরকার খুনি, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর, তাই এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে। বাংলাদেশ পুরোটাই এখন কারাগার। দেশটা জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠাচ্ছেন। আপনাদেরও জেলে যেতে হবে। একটু অপেক্ষা করেন। আপনারাও রেহাই পাবেন না। পালানোর পথ পাবেন না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। আওয়ামী লীগ পিঁপড়ার মতো আচরণ করছে। মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই। আমরা এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করব না। যত চেষ্টাই করেন না আমরা নির্বাচন করব না। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন সরকার করে দিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার আসবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আপনারা বলছেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়। কিন্তু দিচ্ছেন তো আপনারা। চীনে পাঠিয়েছেন রাশেদ খান মেনন ও দীলিপ বড়ুয়াকে। চীনও আপনাদের সঙ্গে নেই। আপনারা বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির দোষ দিচ্ছেন। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দিচ্ছেন।
এ সময় পুলিশকে ভালো হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন নাগরিক ঐক্যের এ নেতা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ কোষাগার খালি করেছে। তাদের নেতাদের নৈতিক জোর নেই। এজন্য তারা পালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছেন। গত ১৫ বছরে ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা পাচার করেছেন। আপনরা তারেক-জোবায়দাকে সাজা দিচ্ছেন। আপনারা আদালতকে ব্যবহার করছেন। আদালত অবমাননা করছেন। আপনারা যত টাকা পাচার করেছেন, কোটি কোটি বছর সাজা দেওয়া দরকার।
সাইফুল হক বলেন, আপনারা বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে দিচ্ছেন না। মামলা করছেন, হামলা করছেন; বাসে আগুন দিচ্ছেন। এভাবে গদি রক্ষা করতে পারবেন না। আর টিকতে পারবেন না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশের ছত্রছায়ায় গুণ্ডাগিরি করছেন। পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ এখন লীগের ভূমিকা পালন করছে। পুলিশ গুণ্ডালীগে পরিণত হচ্ছে। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কার কার পায়ে ধরছে মানুষ সব দেখতে পাচ্ছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মার্কিন ভিসানীতিকে ভয় পায় না। আমরাও পাই না, ভয় পায় আওয়ামী লীগ। কারণ তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। মানুষ আপনাদের ছেড়ে দেবে না। ক্ষমতায় কতদিন থাকতে পারবেন দেখা যাবে?
সাকি বলেন, এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। জনগণ সামনে নামবে রাস্তায় নামবে। ঘন প্রতিরোধ করবে। আপনাদের সমস্ত পথ বন্ধ করে দেবে। আর থাকতে পারবেন না।