বরগুনায় সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় শ্যালিকা বাঁধা দিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ইলিয়াস পহলান।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু হলো-১৩ বছরের শিশু হাফিজুর ও তিন বছরের শিশু তাইফা।
অভিযুক্ত ইলিয়াস পহলান (৩০) সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ইলিয়াস তার শ্যালিকাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে শ্যালিকা, তার শিশু কন্যা তাইফা ও প্রতিবেশী শিশু হাফিজুলকে নিয়ে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। গভীর রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঢুকে ইলিয়াস জোরপূর্বক শ্যালিকার সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে ইলিয়াস। এ সময় শ্যালিকাকে বাঁচাতে এলে দুই শিশুকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় ইলিয়াস। ঘটনাস্থলেই শিশু হাফিজুলের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু তাইফাও মারা যায়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন , এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইলিয়াস পহলানকে আমরা আটক করেছি। ভুক্তভোগী নারীকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।