ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও উত্তর বারিধারা ৩০ এপ্রিল লিগ শুরুর সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে। তাদের ক্যাম্প বন্ধ। ফুটবলাররা ছুটিতে যে যার বাড়িতে। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ। এর আগে ফুটবলারদের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া সম্ভব না। আবার অন্য দিকে দ্বিতীয় লেগ শুরুর আগে নতুন বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধন করিয়েছে অনেক ক্লাব। ফ্লাইট জটিলতার জন্য তারা এখনো বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম তার দুই বিদেশি ছাড়া খেলতে চান না দ্বিতীয় লেগ, ‘ফেডারেশনকে আমরা শীঘ্রই চিঠি দিচ্ছি। নতুন দুই বিদেশি ছাড়া আমরা খেলতে পারব না। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ। ৩০ এপ্রিল থেকে লিগ শুরু হলে এর মধ্যে আমাদের খেলা সম্ভব হবে না।’
ব্রাদার্স ইউনিয়নের অন্যতম পরিচালক আমের খান বলেন, ‘এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রাদার্সের পক্ষে লিগে অংশগ্রহণ করা কষ্টসাধ্য। আমরা সভাতে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছি এপ্রিলে লিগ শুরু না করার জন্য।’ ব্রাদার্স ইউনিয়নের মতো সুর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমার অনেক ফুটবলার অনেক জেলায়। তারা এর মধ্যে কীভাবে আসবে, এরপর আবার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। লকডাউন শেষ হওয়ার কিছুদিন পর লিগ শুরু হলে এই বিড়মন্বনায় পড়তে হতো না। আমরাও ফেডারেশনকে চিঠি দেব।’
ঢাকা আবাহনীর এএফসি কাপের প্লে অফ ম্যাচ এখনো ঠিক হয়নি। এজন্য আবাহনী খানিকটা নিশ্চুপ ভূমিকায়। এরপরও আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু তিন রাউন্ড ও এই দশ দিন লিগ চালিয়ে খুব একটা সুবিধা দেখছেন না, ‘এই চার রাউন্ড ম্যাচের মধ্যে বসুন্ধরা ও আবাহনীর দুইটি করে ম্যাচ। ফলে আবাহনী ও বসুন্ধরার দুইটি ম্যাচ পরে করতে হলে আবারও এক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন হবে’।
৩০ এপ্রিল লিগ শুরু হলেও আগের মতোই ঢাকার বাইরে খেলা রেখেছে বাফুফে। কুমিল্লা, টঙ্গী ও মুন্সিগঞ্জে হবে ম্যাচ। করোনার এই সময়ের মধ্যে আন্তঃজেলা চলাচল করা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এত কিছুর পরেও বাফুফে ৩০ এপ্রিল লিগ শুরু করছেই।