ধীরে ধীরে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উত্তেজনার শঙ্কা। এমনকি নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে রয়েছে সহিংসতার আশঙ্কাও।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল। তিনি বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতের প্রতি সম্মান থাকা জরুরি।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ নিয়ে করা এক টুইট বার্তায় ক্লেমেন্ট ভউল এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সহিংসতা ও গ্রেপ্তারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই অবস্থায় সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করবে এবং অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ।’
সোমবার রাতের এই টুইটে বাংলাদেশের পতাকার একটি ছবি যুক্ত করে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের বিশেষ এই র্যাপোর্টিয়ার। টুইটের হ্যাশট্যাগে এসময় তিনি ‘বাংলাদেশ’ শব্দটিও ব্যবহার করেন।
এর আগে গত বছর বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ক্লেমেন্ট ভউল। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ক্লেমেন্ট বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা ও প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের খবর পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ঘটনাবলী তিনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও সেসময় জানান ক্লেমেন্ট।
তারও আগে ২০২১ সালে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘের বিশেষ এই র্যাপোর্টিয়ার।
উল্লেখ্য, ক্লেমেন্ট নাইলেতসোসি ভউল একজন টোগোলিজ কূটনীতিক এবং আইনজ্ঞ। টোগোতে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি ২০১৮ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর হিউম্যান রাইটসে আফ্রিকান অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন ভউল।