অপহরণ করতে এসে স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে দুই রোহিঙ্গা অপহরণকারী। এ সময় মারধরে আজিম উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হাসিম নামের অপর রোহিঙ্গা অপহরণকারী।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের আব্দু মালেকের ঘোনা ঘোনা নামকস্থানে এই ঘটনা ঘটে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপহরণকারী দুই রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় শাহ আলমের দুই ছেলে আবছার ও তার ছোটভাই পাহাড় থেকে নিজেদের পালিত গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আব্দুল মালেকের ঘোনার কাছে পৌঁছলে আবছারকে অপহরণকারীরা ধরে বেঁধে ফেলে। এসময় ছোট ভাই চিৎকার করলে তাদের পেছনে থাকা বাবা শাহআলম এসে দুই রোহিঙ্গাকে ধাওয়া করে হাতে নাতে ধরে ফেলে। স্থানীয় জনতাও যোগ দেয় শাহ আলমের সঙ্গে। তারপর তারা অপহরণকারীদের মারধর করে।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে শাহ আলম বলেন, বিকেলে দিকে এ ঘটনা ঘটে। গরুসহ বাড়ি ফেরার পথে তার বড় ছেলেকে অপহরণকারিরা বেঁধে ফেলার পর ছোটছেলের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে অপহরণকারীদের ধাওয়া করি। এসময় পাশের বাগানে কর্মরত শ্রমিকরাও সঙ্গে যোগ দেয়। একপর্যায়ে দুই অপহরণকারীকে ধরে ফেলি। তারপর স্থানীয়রা মিলে তাদের মারধর করা হয়েছে। এরা দুজনেই রোহিঙ্গা অপহরণ চক্রের সদস্য বলে আমাদের ধারণা।
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রোকনুজ্জামান বলেন, জনতার সহযোগিতায় দুই রোহিঙ্গাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তারা অপহরণ করতে এসেছিল বলে উত্তেজিত জনতা মারধর করে। আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন রোহিঙ্গা মারা গেছে। ধারণা করা new