বিএনপির ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচিতে রাজধানীতে ৭টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ২৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। এসব গাড়ির ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায় করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা।
রোববার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামদানী খন্দকারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর পক্ষ থেকে যৌথভাবে এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ২৯ জুলাই বিএনপির ডাকা অবস্থান কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহরে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের ৭টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। পাশাপাশি তারা অন্তত ২৪টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
এতে বলা হয় ২০১৪-২০১৫ সালেও বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে সারা দেশে ৫ হাজার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে এবং ৯২ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে। অতীতের ন্যায় আবারও আন্দোলন কর্মসূচির নামে সহিংসতা শুরু করেছে তারা। আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের জরুরিভাবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায় করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।