পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় শক্ত অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। মূলত চীনের কারণেই রুশদের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বড় কোনো প্রভাব পড়েনি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি গোপন প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে এবং এরপর থেকে চীন রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক মিত্রে পরিণত হয়েছে। বেইজিং মস্কোর জন্য নানান উপায়ে অর্থনৈতিক সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তেমন একটা না পড়ে। এতে এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমছে এবং পণ্য রফতানি নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে চীন জ্বালানি আমদানি জোরদার করেছে এবং অপরিশোধিত তেল লেনদেনের ক্ষেত্রে ট্যাঙ্কার এবং ইন্সুরেন্স সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়া, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য চীন সম্ভবত সিভিলিয়ান-মিলিটারি সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যা দুই খাতেই ব্যবহার করা যায়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো রাশিয়ান প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোতে নেভিগেশন সরঞ্জাম, ফাইটার জেটের যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহারের প্রযুক্তি পাঠিয়েছে। মার্চ পর্যন্ত, চীন ১২ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ড্রোন এবং ড্রোনের যন্ত্রাংশ রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। তৃতীয় পক্ষের ডেটা সরবরাহকারী এবং আনুষ্ঠানিক রাশিয়ান কাস্টমস ডেটা বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, রাশিয়ার জন্য চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। তারা রাশিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা পদ্ধতি চালু করেছে যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।